- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
শিশুদের ছয় থেকে ১২ বছর বয়স, যা ‘মধ্য শৈশব’ নামে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানের কাছে উপেক্ষিত থাকলেও এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনশীল সময়। এই বয়সে শিশুরা বেড়ে ওঠার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে। এই সময়টিতে তাদের মনের ভেতরে কী ঘটে এবং কীভাবে এই সময়টিকে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।
জার্মান ভাষাভাষী দেশগুলোতে ছয় বছর বয়সী শিশুদের হঠাৎ খিটখিটে মেজাজ এবং উগ্র আচরণের একটি চমৎকার বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে এর নাম দেওয়া হয়েছে Wackelzahnpubertät বা আক্ষরিক অর্থে “দাঁত নড়ার বয়সের বয়ঃসন্ধি”। জার্মান ম্যাগাজিন ‘উন্দেরকাইন্ড’ এর মতে, “আক্রমণাত্মক আচরণ, বিদ্রোহী মনোভাব এবং গভীর বিষণ্ণতা এই বয়সের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য।”
একজন লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, তার প্রথম ছোটখাটো বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে যখন তার বয়স ছয়। বন্ধুদের সঙ্গে একটি জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে তিনি একা এবং কিছুটা অবহেলিত বোধ করেন। বাড়ি ফিরে তিনি খুব খারাপ মেজাজে ছিলেন। তার মা যখন কিছু করতে বলেন, তিনি ঝাঁজালো কণ্ঠে বলে ওঠেন, “তুমি তো আয়েশ করে বসে আছো, আর আমাকে ওই পার্টিতে যেতে হয়েছে!” এই কথা শুনে তার মা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বয়সে শিশুদের মধ্যে আগ্রাসী আচরণ, বিদ্রোহ এবং গভীর বিষণ্ণতা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। অনেক সময় ফলাফল খারাপ হওয়ায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, কেউ কেউ হতাশায় বিপথগামীও হয়ে যায়। এসব পরিবর্তন সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন থাকা জরুরি, যাতে তারা শিশুদের এই ঝঞ্ঝাময় সময়ে সঠিক সহযোগিতা দিতে পারেন।
সূত্রঃ বিবিসি নিউজ