- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে সমন্বয় করে গঠনের প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে শিক্ষাবিদ ও কলেজ অ্যালামনাইদের মধ্যে ভিন্নমত লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাবিত মডেল নিয়ে অধিকাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তারা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক নিয়োগ, সাতটি কলেজের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা এবং মেয়েদের ক্যাম্পাসে পাঠদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। পাশাপাশি, বিদ্যমান আইনের কিছু ধারায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে তা সংশোধনের প্রস্তাবও উঠেছে।
তবে কলেজের অ্যালামনাইদের মধ্যে এই প্রস্তাবিত মডেলের প্রতি অসন্তোষ ও বিরোধিতা লক্ষ্য করা গেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ কমে যাবে এবং ফলস্বরূপ অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দিকে ধাবিত হবেন।
সভায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, “প্রস্তাবিত মডেল নিয়ে মূলত কলেজ অ্যালামনাইরা বিরোধিতা করেছেন। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্যান্য অংশীজনরা এটি সমর্থন করেছেন। এছাড়া অনেকে আইনের কিছু ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করব।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে একত্রিত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নামটি নির্ধারণ করে।
সাতটি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো নোট আকারে সংরক্ষণ করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে।