- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবের ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এ সময় বাজারের অন্তত ২০টি দোকান এবং আশপাশের কয়েকটি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদার ও সাজারুল ইসলাম সাজুর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার রাতে শামীম হাসান পলকসহ সাজুর ১১ জন সমর্থক মারধরের শিকার হন। এরই প্রতিবাদে রোববার বিকেলে সাজু ও পলক সমর্থকরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। পুলিশ অনুমোদিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে আব্দুল আলিমের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার জবাবে সাজুর সমর্থকরাও পাল্টা হামলা চালান। এতে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পুলিশের সামনেই সংঘর্ষ চলতে দেখা গেছে। রামপাল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত তিনজন সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন—দৈনিক দিনকালের হেদায়েত হোসেন লিটন, দীপ্ত টিভির মামুন আহমেদ ও নাগরিক টেলিভিশনের শেখ আহমেদ তারিক।
উল্লেখ্য, এই সহিংসতার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল আলিমের পক্ষ থেকে ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।