Friday, October 24, 2025

রাকসু নির্বাচন: নতুন ভিপি জাহিদ, জিএস আম্মার ও এজিএস সাব্বির


ছবিঃ রাকসু নির্বাচনের পদ প্রার্থীরা (সংগৃহীত)

PNN নিউজ ডেস্ক | রাজশাহী:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ১২,৬৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩,৩৯৭ ভোট।

এছাড়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে জয়ী হন। তিনি ১১,৫৩৭ ভোট পেয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা (শিবির সমর্থিত) পেয়েছেন ৫,৭২৯ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬,৯৭১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫,৯৪১ ভোট।

আজ শুক্রবার সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচিত প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠেন। ফলাফল ঘোষণার পর, প্রার্থীরা এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে কিছু অভিযোগও উঠেছে। ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর। তার অভিযোগ, তার পোলিং এজেন্টরা ভোটার তালিকা দেখতে পাচ্ছেন না, যা ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে। তিনি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছেন এবং আশ্বাস পেয়েছেন যে, দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভোটের কালির গুণগত মান নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ভোট দেওয়ার পর, অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে, কালিটি সহজেই উঠে যাচ্ছে, যা ভোট জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তারা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা বলেছেন।

রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮,৯০১, যার মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৭,৫৯৬ এবং ছাত্রী ভোটার ১১,৩০৫ জন। ভোটগ্রহণে মোট ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যার মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এছাড়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম এবং অন্যান্য কমিশনাররা ভোটের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে সজাগ ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না এবং নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন