- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
৩২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলমান আলোচনায় কোনো বিষয়েই ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন।
মঞ্জু বলেন, দলগুলো গত কয়েক মাস ধরে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আলাদা বৈঠকের সুযোগ পেলেও, গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ সত্ত্বেও এনসিসি গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, "আমরা যে যত কথাই বলি না কেন, জনগণ চায় আমরা একটা ঐকমত্যে পৌঁছাই। নাগরিকরা এতদিন যাদের প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাছে ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতিত হতে দেখেছেন, তারা যখন কার্যত ক্ষেত্রে সংস্কারে অনাগ্রহী হয়, তখন জনগণ কিছুটা হলেও আশাহত হয়।"
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমাবদ্ধতার প্রস্তাব:
ঐকমত্য কমিশনের সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এবি পার্টির অভিমত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চাইতেও মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাষ্ট্রের ঐক্যের প্রতীক। প্রচলিত পদ্ধতিতে "একজনকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেই রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়," যা পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এবি পার্টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্যের বাইরে একটি ইলেকট্রোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে।
প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সম্পর্কিত আলোচনায় এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসন কাঠামো যাতে আর ফিরে আসতে না পারে, সেই জন্য বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি যাতে দুই বারের বেশি বিরামহীনভাবে বা অন্য যে কোনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সে ব্যবস্থা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে এবি পার্টির অবস্থান পরিবর্তন:
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের বিষয়ে সানী আব্দুল হক বলেন যে, যদিও এবি পার্টি প্রাথমিকভাবে মনে করত বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুপস্থিত, তবে জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে কথা বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু(ছবি :কালবেলা )