- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। নরসিংদী
জেলার সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর বাসস্ট্যান্ডে বুধবার সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী সভার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবির জানিয়েছেন, মেহেরপাড়ায় হামলায় আহত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি ও নরসিংদী-২ আসনের প্রার্থী আমজাদ হোসাইন বলেন, হামলায় জড়িত ছিল স্থানীয় যুবদল ও তাঁতী দলের নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “হামলায় অন্তত ৪০ জন যুক্ত ছিলেন। এই ন্যক্কারজনক হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”
আমজাদ হোসাইন আরও দাবি করেন, শুরু থেকেই বিএনপির কিছু নেতা ও কর্মী সভায় বাধা দিচ্ছিলেন। সভা চলাকালীন মঞ্চের পেছনে গিয়ে তাঁকে গালাগাল করা হয়। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হলেও, সভা শেষে ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। এছাড়া দলের আরও ৩ কর্মী এখনো নিখোঁজ।
ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন ও যুবদল নেতা ইফতিখার আলমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রশিদ মিয়া হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, উল্টো হামলায় তাঁদের দলের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। “ঠিক কী ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” তিনি বলেন।