- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীর নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিস্তা পাড়ের শতাধিক চরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কিছু নিচু এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২৯.৯ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপদসীমা (২৯.৩১ সেন্টিমিটার)-এর কাছাকাছি।
এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), যাতে অতিরিক্ত পানি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
রোববার সন্ধ্যায় পাউবো প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আরও বাড়বে এবং তা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে করে রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “তিস্তার পানি যদি বিপদসীমা অতিক্রম করে, তাহলে নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি প্লাবিত হতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই আমরা ধারণা করছি।”
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন ইতোমধ্যে পানির চাপে রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, “রোববার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে এবং উজান থেকে পানির চাপে নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।”
ডাউয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান জানান, “যদি পানি বাড়তে থাকে, তাহলে ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে কিছু পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।”
তিস্তা ব্যারাজের লেভেল পরিমাপক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়ছে। সে অনুযায়ী ৪৪টি গেট খোলা রাখা হয়েছে।
এদিকে পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, “উজান থেকে পানি আসা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছি এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”