Tuesday, October 14, 2025

পাবিপ্রবি’র ‘জুলাই ৬’ হলে সিট বণ্টনে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের অনশনে নতি স্বীকার প্রশাসনের


ছবিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংগৃহীত)

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ‘জুলাই ৬’ হলের দ্বিতীয় ধাপের সিট বরাদ্দ তালিকা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে তালিকা বাতিল ও হল প্রশাসনের হাতে থাকা ১০ শতাংশ সিটের বরাদ্দ বন্ধের দাবিতে ৯ আগস্ট আমরণ অনশনে বসেন পাঁচ শিক্ষার্থী। প্রায় সাত ঘণ্টার অনশনের পর দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রশাসন তালিকা স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সিট বণ্টনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত নীতিমালা উপেক্ষা করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও সমন্বয়কের সুপারিশের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নীতিমালায় মেধার সর্বোচ্চ নাম্বার যেখানে ৪, সেখানে সেটিকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৪; এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের জন্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে ১০ নাম্বার যোগ করা হয়েছে। এতে করে যেসব শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল তুলনামূলক কম, তারা সিট পাওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন।

এছাড়া অসচ্ছলতার জন্য নীতিমালায় সর্বোচ্চ ২ নাম্বারের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে ১০ নাম্বার, যা বিভাগীয় সভাপতির প্রত্যায়নের বদলে সহকারী হল প্রভোস্টরা মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নির্ধারণ করেছেন। ফলে একই শিক্ষাবর্ষে অসচ্ছলতার নাম্বারে বৈষম্য দেখা গেছে। এমনকি কিছু শিক্ষার্থী ভুয়া সিজিপিএ প্রদর্শন করলেও তা যাচাই করা হয়নি।

প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান স্বীকার করেন, দারিদ্র্যের ২ নাম্বারকে রূপান্তর করে ১০ করা হয়েছে এবং মার্কসের মোট সংখ্যা ৪০-এ উন্নীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কথা বিশ্বাস করেছি, কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী ভুল তথ্য দিয়েছে। ভবিষ্যতে নীতিমালায় যা আছে, সেটিই কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে এবং বিভাগের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে মেধা ও অসচ্ছলতার নম্বর নির্ধারণ করা হবে, যাতে প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ থাকে।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এবার প্রশাসন নীতিমালা অনুসারে নতুন তালিকা প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছে, যা হলে সিট বরাদ্দে দীর্ঘদিনের স্বচ্ছতা সংকট নিরসনের পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন