- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অভাবের তাড়নায় আড়াই বছরের লামিয়া খাতুন নামের এক শিশুকন্যাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন মা রেশমা খাতুন (২৫)। এরপর নিজেও একইভাবে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রেশমা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী। দুই বছর আগে রহিদুল বিদেশে যান। প্রবাসে থাকাকালীন তিনি নিয়মিতভাবে সংসারের জন্য অর্থ পাঠাতে পারেননি। এতে পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। একই সময়ে রেশমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
পরে রাগ ও হতাশার প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে শিশুকে হত্যা করেন এবং এরপর নিজেই ঘরের আড়ের সঙ্গে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন।
দীর্ঘ সময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে দরজা ধাক্কা দেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।
দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ ঘটনাস্থলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
স্থানীয়রা জানান, পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট ও চিকিৎসার অভাবে মানসিক চাপে থাকা রেশমা খাতুনের এমন ঘটনার পেছনে মূল কারণ ছিল।