- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আয়োজিত এক সেমিনারে আব্দুস সাত্তার এসব অভিযোগ করেন। অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব জানান, উপদেষ্টাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও তথ্য আছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়াই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া কতটা যৌক্তিক। তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত কর্মকর্তারা হাততালি দিয়ে সাড়া দেন এবং অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও দুর্নীতি কমেনি; বরং বেড়েছে।
আব্দুস সাত্তার আরও জানান, হাসিনা সরকারের সময়ে বঞ্চিত হাজার হাজার কর্মকর্তা পতনের পর দলীয় কার্যালয়ে ছুটে এসেছিলেন ন্যায়বিচারের আশায়। তবে তিনি তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসা নিরুৎসাহিত করেছেন এবং সমস্যার সমাধানের জন্য অফিসার্স ক্লাবে আসতে বলেছেন।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারাও অতীতের রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের সমালোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান। শহীদ পরিবারের সদস্যরা জুলাই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং প্রশাসনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবি জানান।
জনপ্রশাসন সচিব বক্তব্যে বলেন, দেশের বিদ্যমান আইন যথেষ্ট, তবে তার সঠিক প্রয়োগ ও সাহসের ঘাটতিই মূল সমস্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিবও প্রশাসনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।