- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ঐতিহাসিক 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস' উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আজ জনতার ঢল নেমেছে। প্রখর বৃষ্টি উপেক্ষা করেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের স্রোতে জনসভা পরিণত হয়েছে গণউৎসবে। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।
সকালের শুরু থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে স্লোগান আর দেশের পতাকায় মোড়ানো মানুষে মুখরিত। প্রতিবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাতে ছাতা, কাঁধে পতাকা আর বুকে ব্যাজ ধারণ করে এগিয়ে যান সভামঞ্চের দিকে।
তরুণ রবিউল বলেন, “বৃষ্টি নয়, বুলেট ঝরলেও আমরা থামব না। জুলাই আমাদের লড়াইয়ের প্রতীক।” প্রাইভেট চাকরিজীবী সোহান বলেন, “জুলাই হলো আমাদের আত্মার প্রশ্ন। সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলনের মঞ্চ ছাড়ব না।”
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দিনভর চলবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
সূচি অনুযায়ী সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, ১১টা ৪০ মিনিটে পরিবেশনা করে কলরব। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম, এবং সাড়ে ১২টায় সংগীত পরিবেশন করেন তাশফি। নামাজের বিরতির পর মঞ্চে আসে চট্টগ্রামের ‘হিপহপ হুড’, শিল্পী সেজান ও ব্যান্ড শূন্য।
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর ফের কনসার্ট শুরু হয়। একে একে পারফর্ম করে জনপ্রিয় শিল্পী সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ। শেষ পরিবেশনার আগে বিকেল পৌনে ৫টায় আসরের নামাজের বিরতি রাখা হয়।
এরপরই শুরু হবে দিনের মূল আকর্ষণ—অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের কণ্ঠে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আগের দিনই জানানো হয়েছিল, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় এ ঘোষণা পাঠ করা হবে।
এ ঘোষণাপত্র পাঠের সময় উপস্থিত থাকবেন সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা।
সারাদেশ থেকে আগত শিশু, কিশোর, তরুণ, প্রবীণ—সব বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক ‘৩৬ জুলাই’ দিবসটি রূপ নিয়েছে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে।