- ২১ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | নোয়াখালী :
নোয়াখালী শহরের মাইজদী এখন কিশোর গ্যাং কেটিজি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, রাহাজানি, জমি দখল, এবং মেয়েদের অপহরণসহ একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে এই কিশোর গ্যাং। শহরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গোয়েন্দা তথ্য ও এলাকাবাসীর দাবি, কেটিজি গ্রুপের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, যেমন জেলা প্রশাসকের অফিস, পুলিশ সুপার অফিস, রেলস্টেশন, এবং শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত সংগঠিত হয়। এরা শুধু মাদক বা চাঁদাবাজি করেই সন্তুষ্ট নয়, সম্প্রতি তারা সংঘর্ষও শুরু করেছে, যার ফলে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশেষ করে গত ১৬ অক্টোবর রাতে, কেটিজি গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়, এবং মধুপুর গ্রুপের সদস্যদের ধাওয়া করে শহরের শান্তি ভঙ্গ করে। পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কোনো প্রতিরোধ গড়ে না ওঠায়, ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করতে বাধ্য হন।
এছাড়া, গত ১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭-৮ জন আহত হন, এবং এক ব্যক্তিকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। আহত ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মামলা দায়ের করেছে এবং কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে, অভিযোগ উঠেছে যে অনেক সময় সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক আশীর্বাদ পাচ্ছে, যা তাদের কার্যক্রমে আরো উৎসাহ যোগাচ্ছে।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কেটিজি গ্যাংয়ের কারণে শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তায় চলতে গেলে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া বা হামলার ঝুঁকি থাকে, এবং পুলিশ এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, "কিশোর গ্যাং বা বড় গ্যাং, কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে আপস করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ কাজ করছে, এবং অভিযানে কিছু গ্রেফতারও করা হয়েছে।"
তবে শহরের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আরো কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন।