- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য আলাদা নির্বাচনী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। দলীয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনী প্রচারে নারী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ মোট সাতটি বিষয়ভিত্তিক পোস্টার প্রকাশ করা হবে। পোস্টারগুলো নির্বাচনী ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ আকারে তুলে ধরবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো জনগণের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবারের ইশতেহার গঠিত হবে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা, জুলাই সনদ এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার সমন্বয়ে।
ইশতেহারে নির্বাচনী শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, মানবাধিকার রক্ষা ও দুর্নীতিবিরোধী কাঠামো শক্তিশালীকরণকে কেন্দ্রীয় স্থান দেওয়া হবে। এছাড়া, অবাধ নির্বাচন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, বাক্স্বাধীনতা, স্বচ্ছ প্রশাসন ও জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিএনপি এবার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে আলেম-ওলামা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, যুবক, কৃষক, নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন, ধর্মীয় শিক্ষার আধুনিকায়ন, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি সুরক্ষা, উৎসবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে কার্যক্রম চালানো হবে।
যুব সমাজকে লক্ষ্য করে দলের পরিকল্পনায় এক কোটি নতুন কর্মসংস্থান, স্টার্টআপ ফান্ড, আইটি প্রশিক্ষণ, বিদেশে নতুন শ্রমবাজার এবং মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অন্তর্ভুক্ত। কৃষকদের জন্য কৃষি উপকরণের দাম কমানো, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিঋণ সহজ করা এবং ধান-চাল কেনার স্বচ্ছ ব্যবস্থা করা হবে। নারীর নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ, নারী উদ্যোক্তা তহবিল, মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধি এবং নারী সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালও ইশতেহারের অংশ।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। নেতারা আশা করছেন, ৩১ দফা, জুলাই সনদ ও গ্রুপভিত্তিক প্রতিশ্রুতি এই তিনের সমন্বিত ইশতেহার বিএনপির নির্বাচনী প্রচারে নতুন গতি আনবে।
গতকাল রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যুক্ত হন। সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।