- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে কাছে টানতে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে বিএনপি ও কয়েকটি ইসলামপন্থী দল হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকায় হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে বিএনপির আরও দুই শীর্ষ নেতা চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
রাজনৈতিক সূত্র বলছে, বিএনপির কৌশল হলো জামায়াতের বাইরে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামপন্থী দলগুলোর ভোটব্যাংকে প্রভাব বিস্তার করা। কারণ হেফাজতের আমির বাবুনগরী প্রকাশ্যে একাধিকবার জামায়াতের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন এবং ইসলামি দলগুলোকে ওই দলের সঙ্গে জোট না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জামায়াতবিরোধী এই অবস্থানকে বিএনপি স্বাগত জানালেও হেফাজতের ভেতরে এ নিয়ে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। সংগঠনের কিছু নেতা মনে করছেন, অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে নির্বাচনী জোট কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া হেফাজতের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে আমিরের মর্যাদার কারণে প্রকাশ্যে কেউ বিরোধিতা করছেন না।
এদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে হেফাজতের আমিরের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “হেফাজতের আমির একজন সম্মানিত আলেম। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তবে ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নষ্ট হয়—এমন মন্তব্য কাম্য নয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হেফাজতকে ঘিরে এই টানাপোড়েন নির্বাচনের আগে ইসলামপন্থী ভোটব্যাংকের চিত্র বদলে দিতে পারে। বিএনপি যেখানে হেফাজতের ঘনিষ্ঠতায় লাভ দেখতে পাচ্ছে, সেখানে ভেতরকার মতবিরোধ সংগঠনটির অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।