- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি এবং ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ু-চালিত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘণীভূত হয়েছে এবং বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।
সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ২৬৫ কিমি পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১৩০ কিমি এবং পায়রা বন্দর থেকে মাত্র ১১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে, তাই সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও নিম্নচাপের যৌথ প্রভাবে উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল এবং সংলগ্ন দ্বীপ-চরগুলোতে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাপরিআপডেটস্থিতিরসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।