- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | নড়াইল:
নড়াইল সদর উপজেলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে, এই গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের দায়ের করা মামলার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত মো. তরিকুল ইসলাম সদর উপজেলার মাগুরা-কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কোচিং করানোর সময় গত ১৫ অক্টোবর পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর আলোকে ২২ অক্টোবর থেকে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে স্কুল ছুটির পর শিক্ষক তরিকুল ইসলাম চারজন শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। সে সময় কৌশলে অন্য তিন শিক্ষার্থীকে কক্ষের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান।
প্রথমে সম্মানহানির ভয়ে পরিবার বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে গত ২১ অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর এক সদস্য হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "সামাজিক সম্মানহানিকে তুচ্ছ করে মামলা করার পরেও পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হলো না।"
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, নড়াইল সদর থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, "অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুলকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।"