- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্য অপরাধী এবং মব সৃষ্টির উস্কানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. শাহ পরান (২৮)-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার কাবিলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে র্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই নৃশংস ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহ পরান এই ঘটনায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই। র্যাব জানায়, তিনিই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মূল হোতা। ঘটনার পর থেকেই শাহ পরান আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ভিডিও ও ছবিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের বর্ণনা অনুযায়ী, দুই মাস আগে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ফজর আলী ও শাহ পরানের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে এক গ্রাম্য সালিশে বড় ভাই ফজর আলী ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে শাহ পরান তখন থেকেই সুযোগ খুঁজছিলেন।
এদিকে, নির্যাতনের শিকার নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঘটনার দিন রাতে ওই নারীর বাবা-মা স্থানীয় একটি মেলায় গেলে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে তার ঘরে প্রবেশ করেন।
র্যাব আরও জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহ পরান, আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ আরও ৮ থেকে ১০ জন মিলে দরজা ভেঙে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং সেই অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে।