- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতা গ্রহণের আগেই দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, খুন এবং ধর্ষণ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, দেশের মানুষ খুনি, ধর্ষক ও চাঁদাবাজদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শনিবার (১২ জুলাই) সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, যখন জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন আমরা সারাদেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, গণধর্ষণ এবং আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো করে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করতে দেখছি। তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমানে একটা প্রকাশ্য দল পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘মিটফোর্ডে গতকাল আমার ভাইকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে আতঙ্কিত করতে চাইছে। তারা বাংলাদেশের কোনো গ্রাম, বাজার, দোকান বা প্রতিষ্ঠান বাকি রাখেনি যেখানে চাঁদাবাজি করেনি।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে, এই চাঁদাবাজদেরও একইভাবে বিতাড়িত করবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লবে ‘আওয়ামী জাহিলিয়াতের’ কবর রচিত হয়েছে। কিন্তু এখন ‘জাতীয়তাবাদী জাহেলিয়াতের’ নতুন করে আবির্ভাব ঘটছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরা না হয়, তাহলে ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে তাদের প্রতিহত করবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।