- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সতর্কতা অবলম্বন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং জনগণকে সচেতন করতে জারি করেছে ১১ দফা নির্দেশনা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
ফলে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে সবার উচিত নিয়মিত মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা।বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন ধরনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং যারা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে ভুগছেন। যেমন: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের সমস্যা, ক্যানসার বা দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত (সিওপিডি, অ্যাজমা) রোগীরা।
গর্ভবতী নারীরাও ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছেন। এদের প্রতি পরিবার ও সমাজের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা বা ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরীক্ষায় কভিড পজিটিভ হলে বাসায় থেকে আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং পরিবার থেকে আলাদা থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
শ্বাসকষ্ট, শরীরের অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া, তীব্র কাশি বা দুর্বলতা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যাদের আগে থেকেই জটিল রোগ রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও বেশি জরুরি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’ ১৬২৬৩ নাম্বারে কল করে যেকোনো সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যাবে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই হতে পারে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।
ছবিঃইন্টারনেট হতে সংগৃহীত(17/06/2025)বাংলাদেশ