- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। খুলনা
খুলনা শহরে একই দিনে দুই স্থানে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর দুই হত্যাকাণ্ড। সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানায় পৃথক ঘটনায় মোট চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
লবনচরা থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশ মোল্লা গলির একটি বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ির ভেতরে থাকা মুরগির খামার থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন—মহিদুন্নেছা (৫৫), তার নাতনি ফাতিহা (৬) এবং নাতি মুস্তাকিম (৮)।
নিহত শিশুদের মা রুবি বেগম জানান, সকালে সন্তানদের নানীর কাছে রেখে তিনি কর্মস্থলে যান। সন্ধ্যায় ফিরে তাদের কোথাও না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির মুরগির খামারের ভেতর তিনজনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত কিনা বা পারিবারিক কোনো বিরোধ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
এদিকে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার করিমনগর মোড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আলাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামে এক যুবককে বাড়ির সামনে লক্ষ্য করে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় আলাউদ্দিন স্ত্রীসহ বাড়ির সিঁড়িতে বসে ছিলেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সুমন হাওলাদার জানান, ৬–৭ জন সশস্ত্র ব্যক্তি বাড়ির ভেতরে ঢুকে আলাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তারা হঠাৎই গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আলাউদ্দিনের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লাগে এবং পরে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সেখান থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তার মতে, নিহত আলাউদ্দিন পূর্বে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড পূর্ব শত্রুতার কারণে নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশিদুল ইসলাম খান বলেন, “ঘটনাগুলো সম্পূর্ণ পৃথক। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এসব হত্যার সঙ্গে জড়িত—তা শনাক্তে আমরা কাজ করছি।”