- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি। সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১১টায় শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে পদযাত্রাটি শেষ হবে। এরপর মুক্তমঞ্চে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে খাগড়াছড়ি জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। শহরের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৬২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ওসি ও এসআই পর্যায়ের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “কক্সবাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আমরা খাগড়াছড়িতে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আশ্বাস দিয়েছেন কোনো ধরনের সংঘাত হবে না।”
এনসিপির পদযাত্রার দিনই বিকাল ৫টায় খাগড়াছড়ির কলাবাগান এলাকায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন কৃষক দলের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এনসিপির কর্মসূচিস্থল চেঙ্গী স্কয়ার থেকে কলাবাগানের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। তাই শহরজুড়ে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা, তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এক বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই। এনসিপির নেতাদের অনুরোধ জানিয়েছি যেন উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য না আসে। আমাদের কর্মীদেরও বলা হয়েছে পথে কোনো বাধা সৃষ্টি না করতে।”
পদযাত্রা ও জনসভায় অংশ নেবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মনজিলা আক্তার ঝুমা।
ঝুমা বলেন, “আমাদের কর্মসূচিতে জেলার নয়টি উপজেলা থেকে মানুষ অংশ নিচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব, আশা করি সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করবে।”
শহরের বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছে। পদযাত্রাটি মহাজনপাড়া, নারকেল বাগান বাজার, আদালত সড়ক হয়ে শাপলা চত্বরে এসে শেষ হবে। এরপর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হবে কেন্দ্রীয় জনসভা।