- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
** স্টাফ রিপোর্টার | PNN:**
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে অভিযোগকারী একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশা।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী নারীর স্বামী—একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর—পূর্বে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সেনা চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি কারাভোগ করছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার আগেই তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় এবং সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। অভিযোগের সংবেদনশীলতা ও অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়া সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে, চাকরি থেকে বরখাস্ত সেনা সদস্যরা চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। তবে মানবিক বিবেচনায়, উক্ত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে সাময়িকভাবে পরিবারটিকে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয় এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।