- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে প্রথম দফায় ছয়জন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ আলোচনা হয়।
আলোচনায় উঠে আসে একাধিক সম্ভাব্য পথ—গণভোট আয়োজন, সুপ্রিম কোর্টের মতামত (রেফারেন্স) গ্রহণ, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, কিংবা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সনদ কার্যকর করা। তবে সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশের সীমাবদ্ধতার কথাও আলোচনায় উল্লেখ করা হয়।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত সংগ্রহ শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে এবং সব পরামর্শ চূড়ান্তভাবে সরকার ও দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। তাঁর ভাষায়, “সনদের বাস্তবায়ন যেন কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ না থাকে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
গত দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়, যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই সনদ। তবে কবে এবং কীভাবে এই সনদ বাস্তবায়ন হবে, সেটিই এখন মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিএনপি প্রস্তাবিত সময়সীমা মেনে নিলেও জামায়াত ও কয়েকটি দল আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যমান সংবিধান মেনে সংস্কার প্রক্রিয়া এগোলে বিকল্প পথ কমে আসবে। তবে গণভোট এবং সুপ্রিম কোর্টের মতামত—এই দুই পথ জনগণের অভিপ্রায়কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে সহায়ক হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন করে, যার মধ্যে পাঁচটির ১৬৫টি সুপারিশ ইতোমধ্যে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জুলাই সনদের মাধ্যমে বাকি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য এই আইনি ও প্রক্রিয়াগত আলোচনা চলছে।