- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
জুলাই জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন ও নভেম্বরে গণভোট আয়োজন নিয়ে জামায়তে ইসলামী এখনো অনড় অবস্থান বজায় রেখেছে। দলটি একই সঙ্গে মাঠের কর্মসূচি জোরদার করার পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে।
জামায়াতের একটি সূত্র জানিয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিষয়ে কথা বলতে তারা গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত চেয়েছিল। তবে এখনও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো সময় দেওয়া হয়নি।
দলের নেতারা মনে করছেন, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিলম্ব নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনাকে অনিশ্চিত করছে। তাই তারা সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের এক নেতা বলেন, “সরকার যদি তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন কঠিন হয়ে যাবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরও বলেন, “আমাদের যদি নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য করা হয়, আমরা প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি চালাতে বাধ্য হব।”
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হওয়ার পর জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, গণভোটের পর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্য ক্ষুণ্ণ হবে। তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নজরে রাখছি। সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছি। কোনো বাধা সৃষ্টি হলে আমরা মাঠে সক্রিয় থাকব।”
দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া আলাদা ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যাতে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য সফল হয় এবং নির্বাচন সংশয় বা অনিশ্চয়তার মধ্যে না পড়ে।