- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব ও ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই গণআন্দোলনে অচেনা মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। গুলিবিদ্ধ বা আহত কাউকে অপরিচিত মানুষ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করেছে—এটাই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আখতার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ কোটা বাতিল নয়, বরং যুগোপযোগী সংস্কার চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার হঠাৎ করেই পুরো কোটা বাতিল করে, যা পরবর্তীতে আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়ে বিপরীত রায় আসে।
তিনি জানান, আদালতের রায়ের পর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাসে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক রঙ লাগার ঝুঁকি এড়াতে তিনি শুরুতে পেছন থেকে সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন।
আখতার হোসেন আরও বলেন, জুন মাস থেকেই সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার কাজ শুরু হয়। জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আন্দোলন বিস্তার লাভ করে। তবে শুরুর দিকে ছাত্রলীগের বাধা অতিক্রম করেই মিছিলগুলো শাহবাগে পৌঁছাত। পরবর্তীতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ফার্মগেট থেকে এক্সপ্রেস হাইওয়ে পর্যন্ত এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৬ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিজেরাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বিতাড়িত করে ‘ছাত্রলীগমুক্ত’ পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। একটার পর একটা হলে এই সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহস ও উৎসাহ বেড়ে যায়।
আখতার হোসেনের মতে, জুলাই আন্দোলনের এই সম্মিলিত মানবিক ও সাহসী চেতনা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।