- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে চুক্তি করায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি এই সিদ্ধান্তকে সরকারের “বড় একটি অসতর্কতা” আখ্যা দিয়ে বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এতে ভুল বোঝাবুঝির যথেষ্ট অবকাশ তৈরি হয়েছে।”
সোমবার (২৮ জুলাই) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আমরা সতর্কতার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা মিশনকে স্বাগত জানাই। তবে যে পদ্ধতিতে অন্তর্বর্তী সরকার এই চুক্তি করেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অংশীজনদের উপেক্ষা করে নেওয়া সিদ্ধান্তে জনমনে শঙ্কা ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, যা যথার্থ এবং যৌক্তিক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন গুম, খুন, আইন বহির্ভূত নির্যাতনসহ মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মনোযোগ দিক। তবে সেনসিটিভ ইস্যুগুলোতে কিংবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়ে তারা যেন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে।”
ভারতের আগ্রাসন, সীমান্ত হত্যা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার অপপ্রচার প্রসঙ্গ টেনে মঞ্জু বলেন, “বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতে জাতিসংঘের ভূমিকা এখনও সন্তোষজনক নয়। কিন্তু তারপরও আন্তর্জাতিক অবিচার ও জুলুমের মুখে আমাদের জাতিসংঘের দারস্থ হতে হয়—এটা অত্যন্ত বিব্রতকর।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার অংশীজনদের উদ্বেগ আমলে নেবে এবং যেসব বিষয়ে তারা উষ্মা প্রকাশ করেছে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করবে।