- ২০ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
গণ-অভ্যুত্থানের পর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক ভালো থাকলেও সম্প্রতি তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত জুলাই সনদে জামায়াতের স্বাক্ষর এবং এনসিপির স্বাক্ষর না করার পর দুই দলের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির 'সুসম্পর্ক' থাকার পর, হঠাৎ করে জামায়াতের সমালোচনা কেন করছে এনসিপি, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, এনসিপি নেতারা দাবি করছেন যে, জামায়াতের পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "জামায়াতের পিআর আন্দোলন, যা এখন সরকার ও অন্যান্য দলের সঙ্গে আঁতাত করছে, এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কৌশল এবং গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য থেকে দৃষ্টি সরানোর প্রচেষ্টা।" তিনি আরও বলেন, "জামায়াতের প্রতি এনসিপির বিশ্বাস ছিল, কিন্তু তারা কৌশলগতভাবে এটি ছিনতাই করেছে।"
এনসিপির নেতারা জানান, জামায়াতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে এনসিপির মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গের অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা দাবি করেন যে, জামায়াতের রাজনৈতিক দ্বিচারিতা আর এনসিপি মেনে নিতে পারে না। বিশেষ করে, জামায়াতের পিআর আন্দোলন এবং জুলাই সনদে তাদের অনুপস্থিতি এনসিপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছে।
এদিকে, জামায়াত তাদের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের মাধ্যমে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেন, "নাহিদ ইসলামের মন্তব্য অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। জামায়াতের পিআর আন্দোলনকে প্রতারণামূলক বলা মিথ্যা এবং দুঃখজনক।" জামায়াত আরও দাবি করেছে, তাদের পিআর আন্দোলন জনগণের সমর্থনে চলছে এবং এনসিপির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
এনসিপি নেতাদের দাবি, তারা জামায়াতকে ‘গুড ফেইথে’ গ্রহণ করেছিল, তবে এখন তারা জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আগামী দিনগুলিতে এই পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে, বিশেষ করে জামায়াত এবং এনসিপির মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে।