- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জামিল চৌধুরী চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক হওয়ার চারদিন পার হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট ভোর রাতে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৯০ হাজার টাকা সহ জামিল চৌধুরীকে আটক করা হয়। একই দিনে বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তার হন একাধিক ডাকাতির মামলার আসামি অরুপ চৌধুরী, যিনি জামিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার বাদী।
জামিল চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, “অরুপ চৌধুরী আমার কাছে টাকা পাওনা থাকার কথা বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।”
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেজান আহমেদ মোজ্জাম্মেল বলেন, “দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় আমাদের সংগঠন দেবে না। জামিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘটনার তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, “মামলার বাদী একই দিনে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে জামিল চৌধুরী দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বলেন, “অরুপ চৌধুরী আদালতে জামিল চৌধুরীকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তাই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এই ঘটনার পর উপজেলায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও নানা প্রশ্ন উঠেছে, তবে সংগঠন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।