Tuesday, October 14, 2025

গুগল-বেজোসের সহায়তায় নির্মিত ৮৮ মিলিয়ন ডলারের স্যাটেলাইট নিখোঁজ: জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বাধা


ছবিঃ মিথেনস্যাট, একটি স্যাটেলাইট যা শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাসের ‘সুপার-নির্গমনকারী’ উৎসগুলো শনাক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে(সংগৃহীত । বিজিনেস ম্যাটারস)

৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত পরিবেশগত নজরদারি স্যাটেলাইট মিথেনস্যাট (MethaneSat) মহাকাশে হারিয়ে গেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা বলে বিবেচিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা এই স্যাটেলাইটটি মূলত তেল ও গ্যাস শিল্প থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্তে ব্যবহার হতো। এতে অর্থায়ন করেছিল গুগল ও জেফ বেজোস।

ইনভাইরোমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড (EDF) এই প্রকল্প পরিচালনা করে এবং স্যাটেলাইটটি থেকে সংগৃহীত তথ্য উন্মুক্ত করে দেয়, যাতে গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা নির্গমনকারী প্রধান উৎসগুলো শনাক্ত করতে পারেন। তবে উৎক্ষেপণের এক বছরের মধ্যেই স্যাটেলাইটটির সঙ্গে হঠাৎ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ই  ডি এফ ধারণা করছে, এটি বিদ্যুৎ হারিয়ে ফেলেছে এবং সম্ভবত আর পুনরুদ্ধারযোগ্য নয়।

মিথেন গ্যাস, যদিও স্বল্পস্থায়ী, তবুও জলবায়ু পরিবর্তনে এর প্রভাব কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় বহু গুণ বেশি। প্রধানত কৃষি, জ্বালানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাত থেকে এটি নির্গত হয়। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী বেশিরভাগ স্যাটেলাইট বেসরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ায় সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের স্বচ্ছতা খুবই সীমিত।

মিথেনস্যাট ছিল প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি যন্ত্র, যা ক্ষুদ্র ও ছড়িয়ে থাকা নির্গমন উৎসও শনাক্ত করতে পারত। গুগল এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরি করছিল।

ই  ডি এফ এর দল ধারণা করছে, স্যাটেলাইটটি বিদ্যুৎ হারিয়েছে এবং "সম্ভবত আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না"। তারা বলেছে, কিছু সফটওয়্যার ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য হতে পারে, তবে নতুন স্যাটেলাইট পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি।

তারা আরও বলে, “জলবায়ু সংকট সমাধানে সাহসী পদক্ষেপ ও ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। এই স্যাটেলাইট বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশবাদিতার সম্মিলিত অগ্রদূত ছিল।”

এদিকে, কার্বন ম্যাপার(CarbonMapper) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সেন্টিনেল-৫পি (Sentinel-5P) থেকে এখনো কিছুটা মিথেন সংক্রান্ত তথ্য আসছে, তবে সেগুলোর কার্যকালও প্রায় শেষের পথে। ফলে, বৈশ্বিক জলবায়ু নজরদারির এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন