- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফেনীতে পাঁচ জন সাংবাদিককে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে। ‘একতাই শক্তি’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই ষড়যন্ত্রের তথ্য পাওয়া গেছে, যা গোয়েন্দা তৎপরতায় ফাঁস হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ফেনী সংবাদদাতা ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফেনীর পাঁচ সাংবাদিককে ‘গাজীপুর স্টাইলে’ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। টার্গেটরা হলেন: মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আরিফুর রহমান, দৈনিক ফেনীর সময় এর প্রধান প্রতিবেদক আরিফ আজম, এখন টিভি প্রতিনিধি সোলায়মান হাজারী ডালিম ও এনটিভি অনলাইন রিপোর্টার জাহিদুল আলম রাজন।
গ্রুপের সদস্যরা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। তারা আচমকা হামলা, কোপানো ও অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিনরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহাম্মদ তপু, সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ, সহসভাপতি সাহেদ আকবর অভি, ফেনী কলেজ ছাত্রলীগের সাইফ উদ্দিন মানিকসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম আবদুর রহীম বলেন, “সাংবাদিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) ফেনী জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের ষড়যন্ত্র অগ্রহণযোগ্য।”
ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, “এ ধরনের হামলার হুমকি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। রাষ্ট্রের উচিত অপরাধী যেই হোক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।”
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান জানান, বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সাইবার সেলের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্য পলাতক আসামি বলে জানা গেছে।