- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে পুনরায় নিশ্চিত করেছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচন এড়িয়ে অন্য কোনো পথের চিন্তা করে, সেটি হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।”
বৈঠকগুলোতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান পর্যায়ক্রমে উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিকেল সাড়ে চারটায় জামায়াত নেতারা, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এনসিপি এবং রাত সাড়ে সাতটায় বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “একটি মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তবে ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
অন্যদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা প্রশ্ন তুলছে, সরকার কীভাবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম জানান, তাঁদের দল চায় আসন্ন নির্বাচনটি গণপরিষদ নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃত হোক, যাতে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি সুদৃঢ় হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, “নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নির্বাচন হবে।”
তিনি আরও জানান, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।