- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও যথেষ্ট সমর্থন ও কারিগরি সহযোগিতা পাবে।
ডব্লিউটিওর উপ-মহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে ডব্লিউটিওর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ডব্লিউটিও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উন্নয়নশীল অর্থনীতির বাণিজ্য সক্ষমতা জোরদার করে। বিশেষ করে এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (EIF)-এর সুবিধা গ্রহণে বাংলাদেশ একটি প্রধান দেশ। ইআইএফ-এর মাধ্যমে এলডিসি দেশগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। উত্তরণের পরও বাংলাদেশ আরও পাঁচ বছর এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
ডব্লিউটিওর সহায়তায় বাংলাদেশ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং তৈরি পোশাক খাতের মূল্য শৃঙ্খলে বৈচিত্র্য আনার কৌশল তৈরি করেছে। এছাড়া ‘এইড ফর ট্রেড ইনিশিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শীর্ষ দশ সুবিধাভোগীর মধ্যে ছিল এবং ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পেয়েছে।
শিয়াংচেন ঝাং বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে ডব্লিউটিওতে তার অংশগ্রহণ কৌশল মানিয়ে নিতে হবে। এতদিন দেশটি মূলত এলডিসি গ্রুপের অংশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলেও, উত্তরণের পর বিভিন্ন স্তরের উন্নয়নশীল সদস্যদের সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ ১৯৯৫ সাল থেকে ডব্লিউটিওর সদস্য। ডব্লিউটিওর কার্যক্রম ও নীতি অনুসরণ করে দেশটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য নতুন কৌশল অনুসন্ধান করছে, যার মধ্যে রয়েছে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং আঞ্চলিক চুক্তিতে অংশগ্রহণ, যেমন আরসিইপি।
উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অগ্রগতি অর্জনের সুযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।