Tuesday, October 14, 2025

একাত্তরের মত জুলাইয়ের চেতনাকে বিক্রি করে রাজনীতি না করার আহ্বান বাকৃবি ছাত্রদল আহ্বায়কের


ছবিঃ PNN

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাকৃবি শাখার আয়োজনে ওই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য-সচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, সোনালি দলের সাধারণ সম্পাদক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান, হাওড় ও চড় উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আনিছুর রহমান মজুমদারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে ড. আহমেদ খায়রুল হাসান বলেন, ‘দেশের সকল ক্রান্তি লগ্নে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। গত ১৬/১৭ বছর ময়মনসিংহে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ঢাকার অধিকাংশ প্রোগ্রামের থেকেছি। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে একপর্যায়ে ফ্যাসিস্ট উৎখাতের অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে শেখার অনেক কিছু আছে মূলে হলো দেশপ্রেম। যারা শহীদ হয়েছে তারা শিক্ষা দিয়েছেন তারা ভয় পায়নি, সত্যের পথে ছিল, নিজের ব্যক্তি লাভের জন্যে প্রাণ বিসর্জন দেয়নি সমষ্টিক লাভের আশায় আন্দোলন নেমেছিলো।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘হলে হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিত্বের গুণে, সুনাম দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে না পারো তাহলে আদর্শগত জায়গা থেকে সামনে এগোতে পারবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কে বলবো নতুন প্রজন্মের অনেকে সঠিক ইতিহাস জানে না, সংগ্রামের ইতিহাস জানে না। সাধারণ ছাত্রদের পাশে থাকতে হবে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে সব সময় সামনের সারিতে দেখতে চাই ছাত্রদলকে। আদর্শের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আতিকুর রহমান বলেন,” বিগত স্বৈরাচার সরকার একাত্তরের চেতনাকে বিক্রি করে আজীবন রাজনীতি করেছে, জুলাইয়ের চেতনাকে বিক্রি করে কেউ যেন রাজনীতি করতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যেমন গোটা জাতির, তেমনি জুলাই আন্দোলনও দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এটাকে পুঁজি করে কারো ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে রাজনীতি করার সুযোগ নেই।একাত্তরের মতো,জুলাই আন্দোলন কোনো দলের রাজনীতির পুঁজি হতে পারে না। জুলাই হল দেশের সকল মানুষের সামগ্রিক আন্দোলনের ফসল।

নতুন করে যেন বাংলাদেশের কোন বৈষম্য এবং কোটার আবির্ভাব না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের একমাত্র পরিচয় আমরা সকলে বাংলাদেশী।”

বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি আরো বলেন, “এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ সংস্কার করার সময়, যারা আলগা থাকবেন তারা খসে পড়বেন, যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন তারা দৃঢ় থাকবেন।”

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন