- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তাঁর দল ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভক্ত করার পক্ষে নয়। তিনি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হলেও একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় উলামা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলন’–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বাকিরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান। কিন্তু আমরা এখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নই। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।”
বিভিন্ন ধর্ম-মত মানুষের সামনে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ তার নিজস্ব বিবেচনা ও বিবেকের জায়গা থেকে ধর্মকে গ্রহণ করবে। এই ক্ষেত্রে দাঈদের দায়িত্ব হলো আল্লাহর শাশ্বত বিধান কোরআন এবং রাসূল (সা.)-এর দাওয়াত ও কর্ম অনুসরণ করা, এবং মানুষকে সে পথে আসার আহ্বান জানানো।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, জাতি যখন সংকটে পড়ে, তখন আলেম বা শিক্ষিত ব্যক্তিদের পথ দেখাতে হয়। তাঁরা হবেন জাতির রাহবার বা পথপ্রদর্শক। স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে মানবিক, দায়িত্বশীল ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি—কাজেই জাতি সংকটে আছে। তিনি পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ওলামায়ে কেরামদের জাতিকে পথ দেখানোর আহ্বান জানান।
ওলামায়ে কেরামদের শুধু মসজিদের ইমাম না হয়ে জাতিরও ইমাম হওয়ার মন্তব্য করেন তিনি। শিক্ষিত সমাজের একটি অংশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমার বলতে কোনো দ্বিধা নেই, শিক্ষিত সমাজের সবাই নয়, কিন্তু শিক্ষিত সমাজের একটি অংশের মানুষ যে ক্ষতি জাতির করে, সাধারণ দেশবাসীর কোটি কোটি মানুষ মিলেও সেই ক্ষতি জাতির করতে পারে না। কলমের খোঁচায় একজন মানুষের, জাতির কিসমত (ভাগ্য) যেভাবে ধসে পড়ে, কোটি মানুষ একত্র হয়েও সেই ক্ষতি করতে পারবে না।” এ বিষয়ে জাতিকে জাগ্রত ও সতর্ক করতে ওলামায়ে কেরামের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে বলেও তিনি মত দেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় ওলামা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আবদুল হালিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ দলের অন্যান্য নেতারা।