Tuesday, October 14, 2025

ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি কেন: প্রশ্ন বিএনপি মহাসচিবের


ছবিঃ স্বৈরাচারবিরোধী গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্টার | PNN: 

বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ভাই, আমরা তো কারও প্রতীকে বাধা দিইনি। কার কোন প্রতীক থাকবে, সেটা নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে বিএনপির প্রতীক নিয়ে এত টানাটানি কেন?”

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নিবন্ধনের জন্য ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায় এবং ধান বা সোনালি আঁশ প্রতীক বাতিলের শর্ত দেয়। এ প্রসঙ্গেই বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য আসে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “কিছু দল এখন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, বলে দিচ্ছে অমুক প্রতীক না দিলে নির্বাচনে যাবে না। আমরা তো বলিনি তোমাদের প্রতীক দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের ধানের শীষকে নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?”

ধানের শীষকে জনগণের প্রতিরোধ ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ধানের শীষকে আটকে রাখা যাবে না। গ্রামেগঞ্জে এখন মানুষ বলছে ধান লাগাও, ধান লাগাও। এটাই হচ্ছে আন্দোলনের শক্তি। তাই তারা ভয় পাচ্ছে। কারণ, ধানের শীষ জিতলে শত্রুরা পরাজিত হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দানব শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পালায়নি, বাধ্য হয়ে গেছে। আমরা সংগ্রাম করে সেই পরিস্থিতি তৈরি করেছি। গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই আমরা রক্ত দিয়ে করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোনো একদিনের কাজ নয়। এর জন্য ত্যাগ, পরিশ্রম আর জনগণের সঙ্গে সংযোগ দরকার। বিএনপি সেই দলের নাম, যারা মানুষের পাশে থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।”

সরকারি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ রাখার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “আমলাতন্ত্রকে একটি দলের পকেটে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনকালীন সময় প্রশাসন ও কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান। তিনি বলেন, “শহীদ জেহাদ আমাদের প্রেরণা। তার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতন হয়েছিল, এবারও আমরা অন্যায়ের পতন ঘটাব।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আসাদুজ্জামান রিপনসহ দলের অন্যান্য নেতারা।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন