- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মোছাঃ সুমি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ কুষ্টিয়ার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা ঘটে সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে। সুমির পরিবার ও সহপাঠীরা ধারণা করছেন, দীর্ঘ শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পুলিশও তার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পরিবার ও সহপাঠীদের তথ্যানুযায়ী, সুমি দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগ ফাইব্রাস ডিসপ্লেশিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর হাঁড় ক্ষয় হয়েছিল এবং একাধিকবার অস্ত্রোপচার করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। দীর্ঘদিনের তীব্র ব্যথা, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
সহপাঠীরা জানান, অসুস্থতা সত্ত্বেও সুমি সবসময় স্বাভাবিক জীবনযাপন ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তবে পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপ এবং ক্রমাগত শারীরিক যন্ত্রণায় ক্লান্ত হয়ে তিনি একা একাই লড়াই চালাতে গিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি।
সুমির ছোট খালা মোছাঃ কাঞ্চনী জানিয়েছেন, ভোর রাতে (ফজরের নামাজের আগে) সুমির বাবা-মা তার রুমে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং পরে রশি কেটে নামান। সকালে পুলিশ এসে মৃতদেহের রিপোর্ট দেখেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাযা আয়োজনের ব্যবস্থা করেন। সুমির জানাযা বাদ যোহর অনুষ্ঠিত হবে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমি খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”