- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সংঘর্ষ ও উত্তেজনার ঘটনায় এবার হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসু ভিপি পদপ্রার্থী এবং বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়াহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একই রাতে মুহসীন হলের একটি কক্ষে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা অপর শিক্ষার্থীর কক্ষ ঘিরে ফেলেন।
এসময় সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে আবদুল ওয়াহেদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, “কোনো শিক্ষার্থী যদি আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতিতে পড়ে, তবে এর দায়ভার কে নেবে?” একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
কিন্তু পরে ক্ষুব্ধ কিছু শিক্ষার্থী ওয়াহেদের এই অবস্থান ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি জানতে পেরে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলাকারীরা তার মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় এবং ভিডিও ও ছবি মুছে দেয়।
এ বিষয়ে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে আইন হাতে তুলে নেওয়া সমাধান নয়। তবুও আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। আমি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, “ঢাবিতে মব কালচার যদি ফের জেঁকে বসে, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।