- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকায় ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ রাত ১টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চকবাজার থানা ছাড়াও আশপাশের এলাকায়। দুই পক্ষ স্লোগান দিতে দিতে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালান।
সংঘর্ষের পেছনের ঘটনার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি করেছে দুই পক্ষ। ছাত্রশিবিরের দাবি, কয়েকদিন আগে যুবদলের কিছু অনুসারী চাঁদাবাজি করতে গেলে শিবির নেতারা তাদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এর জেরে সোমবার রাতে যুবদল ও ছাত্রদল মিলে মহসিন কলেজের শিবির নেতা আরিফকে একা পেয়ে ধরে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিবির নেতারা আরিফকে ছাড়াতে থানায় গেলে সেখানে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতারা দাবি করেছেন, শিবিরের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর ওই নেতা মুক্ত করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, “এক ছাত্রকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, “ছাত্রদল-যুবদলের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।”
মহানগর উত্তর শাখা শিবিরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল অভিযোগ করেন, “আমাদের নেতা আরিফুল ইসলামকে মারধর করে থানায় দিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে থানায় গিয়ে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে হামলার শিকার হয় আমাদের কর্মীরা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলম জানান, তিনি ওই সময় থানায় বৈঠকে ছিলেন এবং বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।