Tuesday, October 14, 2025

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের অভিযোগ: তদন্ত চেয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম


প্রতিকী ছবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংগৃহীত)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। তারা নিয়োগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছে।

গত বুধবার (২৩ জুলাই) সংগঠনটির প্যাডে উপাচার্য বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আল-আমীন, সহসভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী এতে স্বাক্ষর করেন। বিষয়টি শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

চিঠিতে দাবি করা হয়, “গত ছয় মাসে তিন শতাধিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই নিয়োগগুলোতে পক্ষপাতদুষ্ট বোর্ডের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে পদ পূরণ করা হয়েছে। এতে স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক সাক্ষাৎকার ও নম্বর বণ্টনেও পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে।”

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম তাদের চিঠিতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পূরণ হওয়া পদগুলো বাতিল করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুনর্নিয়োগ, এবং ভবিষ্যতে নিয়োগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার দাবি জানিয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, “অনিয়মের শিকার পদগুলো আবার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পূরণ করুন। ভবিষ্যতে নিয়োগ অনলাইন আবেদন, স্বয়ংক্রিয় নম্বর বণ্টন ও পাবলিক রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হোক।”

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের মন্তব্য জানতে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমি একা নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম না। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যরাও ছিলেন। তাঁরা তখন কোনো আপত্তি করেননি। এখন অভিযোগ তুললে নির্দিষ্টভাবে বলতে হবে কোথায় অনিয়ম হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অভিযোগগুলোকে "কল্পনাপ্রসূত" বলে মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, “আমাদের দপ্তরে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। সে ঘাটতি পূরণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ চলছে। অতীতে এমন নিরপেক্ষ নিয়োগ হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডে থাকা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান ও রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম—তাঁরা ‘সাদা দল’ নামে পরিচিত জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম দাবি করছে, সাদা দল মূলত জামায়াতপন্থীদের সংগঠন এবং তাদের নিজস্ব স্বার্থেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন