- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন বিতরণ ও দাখিল সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাকসু ভবন ও হল সংসদের বেহাল অবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পেছনে থাকা রাকসু ভবনটি জরাজীর্ণ। ভেতরে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, কক্ষে নেই চেয়ার, টেবিল বা বসার জন্য পর্যাপ্ত স্থান। ভবনের বাইরে নামফলকও নেই, ফলে এটি একটি পরিচয়হীন ভবন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষ বর্তমানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যবহার করছে, তাই ছাত্র সংসদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত স্থান নেই।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উচ্ছ্বাস থাকলেও ভবনের বেহাল দশা হতাশাজনক। প্রশাসনের দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।” আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাজিদুল ইসলাম বলেন, “একটি ঐতিহাসিক ভবন যেখানে আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে, সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ না থাকা দুঃখজনক।”
রাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেতাউর রহমান জানান, “সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর পুনর্বাসনসহ নামফলক স্থাপনের কাজ খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।”
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের ১১ ও মেয়েদের ছয় হলের সংসদ কক্ষের অবস্থা করুণ। অনেক কক্ষ পত্রিকা রুম বা রিডিং রুমে রূপান্তরিত। বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, “রাকসু ভবনের নামফলক স্থাপন ও অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য কমিটি ইতিমধ্যে কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সংস্কার ও পুনর্বাসন সম্পন্ন হবে।”
এই নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিরতির পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হবে, কিন্তু ভবনের অবস্থা সেটিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।