- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-তে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও বহিরাগতদের সশস্ত্র হামলার ঘটনা দেশের শিক্ষাঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। চবি ও বাকৃবির পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ঘটনা সূত্রপাত হয় শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে, যখন চবি ক্যাম্পাসের ভাড়া বাসার এক দারোয়ানকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর পরের দিন স্থানীয়দের সশস্ত্র হামলায় অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত হন, গুরুতর আহত শতাধিক। আহতদের মধ্যে রাজিউর রহমান রাজু ও নাইমুল ইসলামকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ক্যাম্পাস বাসে করা হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোট প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া শিক্ষার্থী ১,৫০০-এর বেশি, গুরুতর আহত শতাধিক।
রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বাকৃবিতে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সদরের এসপি ও ডিসির উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বহিরাগতরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।