- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ঘোষণা করা হলেও সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নারীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। শীর্ষ এই দুটি পদে প্রার্থী দিয়েছে মাত্র একটি প্যানেল—‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’। তাদের পক্ষ থেকে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনীম জাহান শ্রাবণ।
অন্য ৯টি প্যানেলে ভিপি ও জিএস পদে কোনো নারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সংগঠনগুলো বলছে, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া ও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে নারী প্রার্থীরা শীর্ষ পদে আসতে পারেননি। তবে অনেক শিক্ষার্থীর মতে, প্রকৃত কারণ হলো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা এবং নারীদের প্রতি অব্যাহত অবহেলা।
আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম চাকসু নির্বাচন। ৩৫ বছর পর হতে যাওয়া এই ভোটে মোট ২৮টি পদের মধ্যে নির্বাচিত হবেন ২৬ জন প্রতিনিধি। সভাপতি থাকবেন উপাচার্য, আর কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করবেন তিনি নিজেই।
ছাত্রীদের অভিমত, ক্যাম্পাসে নিয়মিত বুলিং, শেমিং ও মোরাল পুলিশিংয়ের কারণে অনেকেই রাজনীতিতে অংশ নিতে সাহস পান না। তাসনীম জাহান বলেন, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ রাজনৈতিক ক্ষেত্র নয়। অনলাইন ও সরাসরি উভয় জায়গাতেই নারীরা হয়রানির শিকার হন।"
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, বিভিন্ন আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও শীর্ষ পদে তাঁদের অনুপস্থিতি বিস্ময়কর। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া নাসরিন বলেন, "আমরা ভেবেছিলাম অন্তত কয়েকটি প্যানেল শীর্ষ পদে নারী রাখবে। কিন্তু তা হয়নি, বিষয়টি হতাশাজনক।"
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিমত, নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নেতৃত্বে আনা হলে চাকসু নির্বাচনে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হতো। এখন বরং আলোচনায় এসেছে নারীর অংশগ্রহণ নয়, তাঁদের অনুপস্থিতিই।