Tuesday, October 14, 2025

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ঘিরে ‘অ্যানোনিমাস’-এর বিস্ফোরক তথ্যচিত্র: নারী ক্রুদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ


ছবিঃ সংগৃহীত | PNN

PNN বিশেষ প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক হ্যাকার সংগঠন ‘অ্যানোনিমাস’ সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত একটি বিস্ফোরক তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে, যা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিক জুলকারনায়েন সায়েরের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় উঠে এসেছে দুর্নীতি, চোরাচালান, মানবপাচার এবং ভয়াবহ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ।

ভিডিওতে দাবি করা হয়, বিমানের একজন নারী কর্মীর আত্মহত্যা এই তদন্তের সূত্রপাত ঘটায়। অ্যানোনিমাস জানায়, এটি তাদের “ব্যক্তিগত অপারেশন” এবং তারা সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামবে না।

প্রধান অভিযোগসমূহ:


১. নিয়োগে দুর্নীতি:

  • ২০১৯-২০ সালের পাইলট নিয়োগ পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়াতে ‘গ্রেস মার্ক’ দিয়ে নিয়োগে অনিয়ম।

  • ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ নিয়োগ বিজ্ঞাপন ফাঁস করে নিজের স্ত্রী সাদিয়া আহমেদকে জাল ডিগ্রিতে চাকরি পাইয়ে দেন।

  • ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন তার ছেলে সাদিফ হোসাইনকে বিদেশ সফরের সুবিধা নিয়ে পাইলট নিয়োগে আনেন।

  • ক্যাপ্টেন হেলালের ছেলে মোহাম্মদ শায়েখ এবং ক্যাপ্টেন হাসনাইনের মেয়ে শারমিন চৌধুরী-সহ আরও কয়েকজনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২. চোরাচালান ও মানবপাচার:

  • বিমান ব্যবহার করে ৭৫৬ কেজি সোনা (২০১৩–২০১৫) এবং ১২.৩২ কেজি মাদক (২০২০) উদ্ধার—যা সামান্য অংশ বলে দাবি অ্যানোনিমাসের।

  • ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ শওকত আলী নামের এক কর্মকর্তা মানবপাচারকারী ফখরুদ্দিনের সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার।

  • ভুয়া বোর্ডিং পাস, আইডি ব্যবহার করে মানবপাচার চলত।

  • এসব অপরাধ চলাকালীন দায়িত্বে থাকা জিএম রাশেদুল করিম-কে তদন্তে না এনে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

৩. নারী ক্রুদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ:

  • শতাধিক নারী ক্রুর সাথে কথা বলে অ্যানোনিমাস জানায়, অভিযোগ করলে ভুক্তভোগীকেই শাস্তি পেতে হয়।

  • ক্যাপ্টেন রাব্বি, এম.এ. কাদের চৌধুরী, ক্যাপ্টেন ইউসুফ মাহমুদ, ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক, শপনিল, সুমনসহ একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা জড়িত।

  • ফ্লাইটে কুপ্রস্তাব, ফোনে হয়রানি, স্পর্শকাতর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, ধর্ষণের চেষ্টার মতো অভিযোগ উঠে আসে।

  • ১৫ জন নারী পাইলটের মধ্যে ৯ জনই (৬০%) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করলেও কোনও প্রতিকার মেলেনি। বরং অভিযুক্তদের স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া হয়।

"অপারেশন নো সেফ হারবার" ঘোষণা: অ্যানোনিমাস জানায়, ১০ জুলাই ২০২৫ থেকে তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ শুরু করবে। ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গোপন সম্পদ ফাঁস করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তারা দাবি করেছে—

"স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হলে, আমরা সমস্ত তথ্য হস্তান্তর করব। অন্যথায়, দুর্বিষহ করে তুলব অভিযুক্তদের জীবন।"


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন