Tuesday, October 14, 2025

বিএনপির হাফিজ উদ্দিন: ১৯৭২ সালের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের ফসল, আওয়ামী লীগের নয়


ছবিঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বক্তব্য দিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধারা আমৃত্যু আপসহীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় (সংগৃহীত)

ঢাকা – বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে রাজনীতিতে একদল তরুণ আছে যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি এবং তাদের মুখে শোনা যায়, বিদ্যমান ১৯৭২ সালের সংবিধান “ছুড়ে ফেলতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, এটি কোনো দলের সংবিধান নয়, বরং এটি মুক্তিযুদ্ধের ফসল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধারা আমৃত্যু আপসহীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, “২৫ মার্চ মিলিটারি ক্র্যাকডাউনের কিছুক্ষণ আগে তাজউদ্দীন সাহেব শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে রাজি হননি। কারণ তিনি অখণ্ড পাকিস্তানে বিশ্বাসী ছিলেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের ফসল হিসেবে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “আমরা যারা যুদ্ধ করেছি, আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। যারা সাধারণ মানুষ, ছাত্র-যুবকরা যুদ্ধ করেছে, তারা স্কুল-কলেজে ফিরে গেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি আমাদের কোনো লোভ ছিল না। সংবিধান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন।”

হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে যে জুলাই সনদ গৃহীত হবে, তা কখনো সংবিধানের ওপরে স্থাপন হতে পারে না। তিনি বলেন, “কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ঠিক করবেন, বাংলাদেশের সংবিধান কী হবে।”

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) নিয়ে তিনি বলেন, “তিনটি দল ব্যতীত কেউ পিআর চায় না। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, তাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার আগে জনগণের ইচ্ছা জানতে হবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ আলফাক। মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি শহীদ বাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন