Friday, December 5, 2025

বাংলাদেশে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের একীভূত উদ্যোগ: ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তুতি শুরু


প্রতীকী ছবিঃ বাংলাদেশ ব্যাংক (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্টার | PNN: 

দেশের শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। একীভূত ব্যাংকের জনবল, শাখা নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং আমানতকারীদের চাপে প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

সরকারি কমিটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। আইন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের পর ব্যাংকটির নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। এ একীভূত ব্যাংকে সংযুক্ত হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক। নতুন ব্যাংকটি মূলধন হিসেবে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার থেকে পাবে, যা শুরুতে এটিকে সরকারি খাতের একটি ব্যাংক হিসেবে দাঁড় করাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছর ধরে পাঁচ ব্যাংকের একীকরণের জন্য আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন, ব্যাংকগুলোর সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা, কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। সিদ্ধান্ত হয়, নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৪০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার সরবরাহ করবে—১০ হাজার কোটি টাকা নগদ এবং ১০ হাজার কোটি টাকা সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে। প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের শেয়ার রূপান্তরের মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকা মূলধনে রূপান্তর হবে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের গ্রাহক ও অন্যান্য পাওনাদারের ঋণের একাংশও শেয়ারে রূপান্তর করা হবে, পরে দীর্ঘমেয়াদে তা নগদায়ন করা হবে।

সরকারি কমিটি জানায়, নতুন ব্যাংকের সংঘবিধি ও সংঘস্মারক চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে এবং এরপর নিবন্ধনের জন্য আরজেএসসিতে পাঠানো হবে। সরকারি মূলধন জমা দিলে ব্যাংক পাঁচটি কার্যক্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে শাখা পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে। অনেক জেলা শহরে পাঁচ ব্যাংকের শাখা আছে; এক বা দুটি শাখা রেখে অন্যগুলোকে অন্য উপজেলায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও প্রযুক্তি বিভাগ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে নতুন ব্যাংকের নামকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এই একীভুতকরণের ফলে দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক খাতে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে, যা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন