- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | চট্টগ্রাম:
আশুলিয়ার সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতকাল রাতভর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গায়ে থুথু পড়াকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া তর্কাতর্কি ও বাকবিতণ্ডার পর সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে, এবং অনেক ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসস্থল 'ব্যাচেলর প্যারাডাইস'-এ এক শিক্ষার্থীর ওপর সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল থেকে থুথু পড়ে। এরপর উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।
এই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে এসে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ও প্রক্টোরিয়াল টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পরবর্তীতে সংঘর্ষে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং প্রশাসনিক ভবনেও হামলা হয়।
এ ঘটনার পর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন। সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা উন্মত্ত হয়ে গাড়ি ও বিভিন্ন সম্পত্তিতে আক্রমণ চালায়। এতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।
সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. কাজী শাহাদাত কবীর বলেন, "আমাদের ক্যাম্পাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, এবং আমাদের মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে।" এদিকে, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির জানান, "আমাদের কিছু শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে এবং আমরা তাদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।"
এদিকে, পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালাইয়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব) এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয় এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।