- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, আইনগত কারণে দলটির কার্যক্রম স্থগিত আছে এবং নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে দলটিকে বাদ দিয়েছে। তিনি বলেন, “আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। নতুন করে যুক্ত হওয়া প্রায় ১০ লাখ তরুণ ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন, যা গত ১৬ বছরের নির্বাচনী পরিবেশে সম্ভব হয়নি।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন হবে সমান সুযোগ, অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে। ব্যাপক ভোটগ্রহণের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ দেশের জন্য নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থনের মাধ্যমে জনগণ যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিলেন, এই সনদ তারই প্রতিফলন।
বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা, বিমান ও সামুদ্রিক খাতের সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনকে ঘিরে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।