- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার জন্য স্বতন্ত্র একক অফিস গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংক। দেশীয় ঋণ ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা ও তথ্যের অসঙ্গতি কমানোর লক্ষ্যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন বলে তারা মনে করছে।
সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় যৌথ কারিগরি সহায়তা মিশন এ সুপারিশটি তুলে ধরে। মিশনটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে বিভক্ত থাকায় কার্যকর সমন্বয় ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া কোনো কেন্দ্রীয় ঋণ তথ্যভান্ডার বা নগদ প্রবাহ পূর্বাভাস ব্যবস্থা না থাকায় ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাশ্রয় ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা কঠিন।
প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র একক অফিসটি প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে: দেশীয় ঋণ ইস্যু পরিচালনা, বার্ষিক ঋণ গ্রহণ পরিকল্পনা প্রণয়ন, নিলাম ক্যালেন্ডার সমন্বয়, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং কেন্দ্রীয় ঋণ তথ্যভান্ডার তৈরি। এছাড়া বিদ্যমান তথ্য ও সিস্টেমসমূহ একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিশনটি আরও বলেছে, ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য আইনগত কাঠামো স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, দায়বদ্ধতা, প্রতিবেদন প্রদান ও স্বচ্ছতার মানদণ্ড সুসংহত হয়। পেশাদার জনবল নিয়োগের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে পুঁজিবাজার, মূল্য নির্ধারণ, নিষ্পত্তি কার্যক্রম ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি জরুরি।
মিশনটি মনে করছে, মধ্যমেয়াদে প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় রূপ নিতে পারে, যা ঋণের দায় তদারকি এবং বিনিয়োগকারী সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, ১৯৮০-এর দশক থেকে বহু দেশ কেন্দ্রীভূত ঋণ ব্যবস্থাপনার মডেল গ্রহণ করে ঋণের ব্যয় হ্রাস, আর্থিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতির মধ্যে সুনির্দিষ্ট বিভাজন নিশ্চিত করেছে।