- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আজ ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলার লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী।
ঘটনার পর মামলা হলেও তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় নানা বিতর্ক তৈরি হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিআইডি মামলার তদন্ত নতুন করে শুরু করে এবং ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করে। তাতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে গত বছর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ করেন, এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও স্বাধীন তদন্ত হয়নি। নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন এবং বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত।
রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। চলতি বছরের ১৭ জুলাই থেকে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জুলাই, ১৯ আগস্ট এবং গতকালও শুনানি হয়। আজ বৃহস্পতিবারও শুনানি চলার কথা রয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ, আর আসামিপক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহানসহ আরও কয়েকজন।