- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন যে, আসন্ন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে, যাতে রমজান মাস শুরুর আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে তিনি এ কথা জানান। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচারিত হয়। এই ভাষণটি ছিল গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে।
ড. ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ ছিল মূলত তিনটি—সংস্কার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। আমরা ইতোমধ্যে দুটি ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করেছি। এখন আমাদের সামনে রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত দায়িত্ব—নির্বাচনের আয়োজন ও ক্ষমতা হস্তান্তর।”
এর আগে বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি "জুলাই ঘোষণাপত্র" পাঠ করেন। সেখানে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার একটি টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভাষণে তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচন কেবল একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি হবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। আমরা চাই, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নির্বাচন করুক।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তারা বলছেন, এটি দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
সাধারণ জনগণের মধ্যে এখন একটাই প্রত্যাশা—একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যা দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে।